মৃতুঞ্জয়ী ক্ষুদিরাম
ভারতবর্ষের বীরপুত্র - ক্ষুদিরাম বসু
ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশদের অধীন পরাধীনতার শিকলে বাঁধা, প্রতিটি মানুষ ইংরেজদের হাতে নিপীড়িত, শোষিত তখন এক ভারতমাতার বীর পুত্রের জন্ম হয় ৷ ভারতমাতাকে পরাধীনতা শেকল থেকে মুক্ত করতে ভারতমায়ের এই বীর পুত্র তার জীবন মুক্ত হস্তে দান করেন ৷ তিনি নিজের বা পরিবারের কথা একবার ও না ভেবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন ৷ মাতৃপ্রেমের জন্য যুবসমাজকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ৷ তরুণ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষুদিরাম বসু ৷
১৮৮৯ সালে ৩রা ডিসেম্বর সেই সুবর্ণ দিন ভারতবর্ষের মাটিতে এক বীর পুত্র জন্মগ্রহন করেন ৷ তখন কার বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি বিভাগের মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হবিবপুর) গ্রামের জন্মগ্রহন করেন ক্ষুদিরাম বসু ৷
পিতা ত্রৈলোক্যনাথ, মাতা লক্ষীপ্রিয় দেবী ৷ পুত্রের আগমনে পিতা-মাতার মুখে হাসির ঝিলিক খেলে ওঠে, আর আপরুপা, সরোজিনী ও ননীবালা তিন দিদির চোখে মুখে খুশির আহ্লাদে ভরে ওঠে ৷ এই আনন্দের মাঝে একটা কালো ছায়া তাদের মনে অন্ধকারের মতো ঘিরে রাখে ৷ এর আগে লক্ষীপ্রিয় দুই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন কিন্ত তারা এই পৃথিবীর স্বাদ গ্রহণ করার আগেই এই পৃথিবীর ছেড়ে চলে যায় ৷ তাই তখন কার প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী নবজাত শিশুর দীর্ঘ আয়ুর জন্য নবজাত শিশুটিকে তার দিদির কাছে তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে দায়িত্ব ভার তুলে দেন ৷ খুদের বিনিময়ে শিশুটিকে কেনা হয় বলে শিশুটির নাম ক্ষুদিরাম রাখা হয়৷ ত্রৈলোক্যনাথ বসু নাড়াজোলের তহসিলদার ছিলেন ৷ তাদের জীবন আনন্দ-উল্লাসের সহিত কাটছিল ৷ ক্ষুদিরামের যখন পাঁচ বছর বয়স তখন তার মা মারা যান ৷ মায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আর এক সংকটের ছায়া তাদের দোর গড়ায় হানা দেয় ৷ মায়ের মৃত্যুর ঠিক এক বৎসর পর তার পিতা তাদের কাছ থেকে চিরতরে চলে যান এই জগৎ ছেড়ে ৷ তার বাবার মৃত্যুর পর ছোটো ক্ষুদিরামকে তার বড়দিদি অপরূপা দেবী তাকে দাসপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে ৷ ১৯০১ সালে তমলুক শহরে হ্যামিলটল হাইস্কুলে ক্ষুদিরামকে ভর্তি করেন ৷ ক্ষুদিরাম স্কুলের অন্যান্য ছেলেদের থেকে একটু আলাদা ছিল ৷ তার মধ্যে অদম্য সাহস ও তেজ ছিল যে অন্যান্য ছাত্রদের তুলনাই হয় না ৷ তিনি ছোট বেলা থেকে একটু দৃঢ় প্রকৃতির ছিলেন, তাই ভবিষ্যৎ বিপ্লবী জীবনে এই দৃঢ়তাই তার সফলতার প্রতীক ছিল ৷ তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে সর্বদা ঝাঁপিয়ে পড়তেন ৷ তিনি দরিদ্র, শোষিত ও নিপীড়িত মানুষদের পাশে থাকতেন সব সময় ৷ ১৯০৪ সালে তিনি মেদিনীপুর চলে আসেন তার দিদি-জামাইবাবুর সাথে ৷ মেদিনীপুরে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন ৷ তার মধ্যে দুষ্টুমিতে ভরা ছিল ৷ পড়াশোনায় তার মন ছিল না, তাই অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনার ইতি ঘটে ৷ তারপর তার জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয় ৷
১৯০২ এবং ১৯০৩ সালে শ্রী অরবিন্দ ঘোষ ও সিস্টার নিবেদিতা মেদিনীপুরে বারবার আসেন ৷ তারা স্বাধীনতার জন্য জনসমক্ষে বক্তৃতা দেন এবং বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে গোপনে অধিবেশন করেন ৷ অরবিন্দ ঘোষ অনুশীলন সমিতি নামে একটি গুপ্ত সংগঠন গড়ে তোলেন ৷ কিশোর ছাত্র ক্ষুদিরাম এই সমস্ত বিপ্লবী আলোচনার অংশগ্রহণ করতেন ৷ তখন তার মধ্যে স্বাধীনতার জন্য তীব্র অগ্নিশিখা জ্বলে ওঠে৷ তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এক স্বাধীন ভারতের৷ যেখানে সাধারণ মানুষ শান্তি পূর্ণ ভাবে জীবন কাটাতে পারবেন ৷ তখন তিনি বিপ্লবী গোষ্ঠীতে যোগদান করেন ৷ মেদিনীপুরে তার বিপ্লবী জীবনের অভিষেক ঘটে ৷ ১৯০২ সালে জ্ঞনেন্দ্রনাথ বসু ও রাজনারায়ন বসু সহযোগিতায় মেদিনীপুরে এক বিপ্লবী সংগঠন গড়ে ওঠে ৷ এই সংগঠনের নেতা ছিলেন হেমচন্দ্রদাস কানুনগো এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু তার সহকারী ছিলেন ৷ এই দলটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কাজ করত ৷ এই দলের সদস্য হিসাবে যোগদান করেন ৷ ক্ষুদিরামের দেশের প্রতি প্রেম ও অন্যান্য গুণাবলীর জন্য অল্প কিছু দিনের মধ্যে সবার মন জয় করে ফেলেন, সবার চোখে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ৷ ক্ষুদিরাম সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সহযোগিতা মাত্র ১৫ বছর বয়সে অনুশীলন সমিতির সদস্য হন ৷ এরপর বিপ্লবী সমিতিতে দেহ গড়়ে তোলা, গীতার সারমর্ম জানা এবং দলের কাজই তার কাছে এক মাত্র ধর্ম হয়ে ওঠে ৷ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় মেদিনীপুরের কৃষি প্রদর্শনীতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লেখা পুস্তক বিলি করার জন্য ক্ষুদিরামকে গেপ্তার করে এবং পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে কম বয়স বলে ছাড় পেয়ে যায় ৷ ১৯০৬ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নির্দেশে "সোনার বাংলা" ইশতেহার বিলি করেন তাকে আবার গেপ্তার করে পুলিশ ৷ এই নিসিদ্ধ ইশতেহার বিলি করার জন্য আদালত তাকে রাজদ্রোহী হিসাবে দোষী সাবস্ত করে ৷ তখন তার মনে দেশ প্রেমের আগুন জ্বলছিল ৷তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতেন, তিনি স্বয়ং লাঠি ও ছোরা খেলা শিখাতেন ৷ তাদের কাজের পরিধি ক্রমশ বিস্তার লাভ করছিল, তার জন্য তাদের অর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয় ৷ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর তখন চাকরি আর ছিল না, শুভাকাক্ষীদের সাহায্য পেলেও সেটা ছিল সামান্য ৷ সব বুঝে ক্ষুদিরাম সমস্ত দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ৷ কাউকে কিছু না জানিয়ে ক্ষুদিরাম দিদি-জামাইবাবুর সঙ্গে তাদের দেশের বাড়িতে চলে আসেন ৷ তিনি জানতেন কোন রাস্তা দিয়ে ব্রিটিশ সরকারি ডাক পিয়ন যায়, তার সঙ্গে সরকারি ডাক ও টাকা থাকে ৷ এক সন্ধ্যায় ডাকপিয়নের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন এবং তার এক বিশ্বস্ত সঙ্গীর মাধ্যমে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কাছে পাঠিয়ে দেন ৷ তারপর তিনি পুলিশের নজর এড়িয়ে কিছুদিন পর মেদিনীপুর ফিরে আসেন ৷ আর কোন দিন দিদির কাছে ফের হয়নি তার ৷
ইতিমধ্যে "বন্দেমাতরম" পত্রিকাতে কয়েকটি বিদ্রোহী মূলক প্রদন্ধ প্রকাশিত হয় ৷ পত্রিকার সম্পাদক বিপিনচন্দ্র পালকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ৷ তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এই বিদ্রোহ মূলক প্রযন্ধের রচয়িতাকে কিন্ত তিনি কিছুই বলেনি ৷ বিচারক কিংসফোর্ড আদালতের আদেশ অবমাননার দায়ে বিপিনচন্দ্রকে দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ৷ আদালতের বাইরে জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং "বন্দেমাতরম" ধ্বনি উচ্চ কন্ঠে বলতে শুরু করে ৷ পুলিশ ভিড় সামলাতে না পেরে নৃশংস ভাবে লাঠি চার্জ করে ৷ বিদ্রোহের আগুনে ফেটে পড়ল সবাই ৷ ১৪ বছরের এক ছেলেকে কিংসফোর্ডের আদালতে বিচারে পনেরো ঘা বেত মারার আদেশ দিল ৷ এত ছোট ছেলের বিরুদ্ধে এই নির্মম শাস্তির জন্য সারাদেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়ল ৷
এই নির্মম শাসকের বিরুদ্ধে গুপ্ত সমিতিতে সভা বসল ৷ এই সভায় অত্যাচারী কিংসফোর্ডের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ঠিক হল ৷ তারপর শুরু হল বিভিন্ন কার্যকলাপ ও পরিকল্পনা ৷ অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে হত্যা করার পরিকল্পনা পরপর দুইবার ব্যার্থ হয় ৷ এই খবর ইংরেজদের মধ্যে ছড়িয়ে গেল ৷ তখন ব্রিটিশ সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে কিংসফোর্ডকে মজঃফরপুর জেলার বদলি করে দিলেন ৷ ব্রিটিশ সরকারের এই সিধান্তে বিপ্লবীদের মনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি ৷ তার নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল রইল ৷
ক্ষুদিরাম নিজেকে গুপ্ত সমিতির সহযোগিতায় বন্দুক চালানো ও বোমা তৈরির কাজে নিপুন হয়ে ওঠে ৷ তখন ক্ষুদিরামের কাছে আসে সুবর্ণ সুযোগ অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবার ৷ গুপ্ত সমিতির সভায় মতামত অনুযায়ী কিংসফোর্ডকে হত্যা করার দ্বায়িত্ব ভার দেওয়া হয় ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকীর উপর ৷ ভারত মায়ের দুই তরুণ যোদ্ধা ৷ অত্যাচারী শাসক দলের বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে ফোটে ওঠে এক জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ৷ ওই দুই তরুণ তাদের দ্বায়িত্ব বুঝে নিয়ে মজঃফারপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ নিজেদের আত্মগোপন করার জন্য তার ছদ্মনাম ধারন করে ৷ ক্ষুদিরাম "হরেন সরকার", প্রফুল্ল চাকী "দিনেশ চন্দ্র রায়" এই নামে কিংসফোর্ডের বাড়ির সামনে এক ধর্মশালায় ওঠেন ৷ সেখানে থেকে তার কিংসফোর্ডের উপর নজর রাখে ৷ তিন সপ্তাহ ধরে তার নজর রাখার পর তার বুঝতে পারে প্রত্যহ কাজের শেষে সন্ধ্যায় তিনি ব্রিটিশ ক্লাবে আসেন ৷ দুই তরুণ যোদ্ধা এই সন্ধ্যার সময় তাদের উদ্দেশ্যে সফল করার সিন্ধান্ত নেয় ৷ ১৯০৮ সালে ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় কিংসফোর্ডের আসার অপেক্ষা করে ৷ এক সময় তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটে ৷ তার গাড়ি লক্ষ করে বোমা ছুঁড়ে ৷ বিস্ফোরণের আওয়াজে গোটা শহরতলি কেঁপে ওঠে ৷ গাড়ি ভেঙে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায় ৷ দূরভাগ্য বসত এই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না৷ মিসেস ও মিস কেনেডি নামে দুই ব্রিটিশ মহিলা ছিলেন ৷ তার দুইজনে মারা যান ৷ বোমার আওয়াজে সাম্রাজ্যবাদী শাসনের ভিত কেঁপে উঠেছিল ৷ তার বুঝেছিল ভারতবাসী অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখেছে ৷ ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল তার দুইজনে আলাদা আলাদা ভাবে পালিয়ে যায় ৷ কিন্তু মধ্যে রাতের মধ্যেই এই ঘটনাটি পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে ৷ হাঁটতে হাঁটতে ক্ষুদিরাম একটি স্টেশনে পৌঁছায় এবং চায়ের দোকান থেকে জল খান ৷ তখন এই স্টেশনে থাকা দুই কনস্টেবলের নজর ক্ষুদিরামের উপর পরে ৷ কিছুক্ষন জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের ক্ষুদিরামের উপর সন্দেহ হয় ৷ তাদের হাতাহাতিতে ক্ষুদিরামের কাছে থাকা বন্দুক পড়ে যায় ৷ তখন ক্ষুদিরামকে তার গেপ্তার করে ৷ ক্ষুদিরাম চিরকালের জন্য ধরা পড়ে গেলেন ৷ অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীকে পুলিশের সামনে পড়তে হয় কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা দেবার আগে তিনি আত্মহত্যা করেন ৷ গেপ্তার হবার পর ক্ষুদিরাম ভয় ভীত হয়নি ৷ তিনি জানতেন তিনি একজন বিপ্লবী, সত্যশ্রয়ী তাই আমি "মৃত্যুর চেয়েও বড়" ৷ মৃত্যু তার প্রতি মূর্হূতের সঙ্গী ৷ আদালতে বিচারে তার ফাঁসি নির্দেশ জারি করে ৷ চারিদিকে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷
সেইদিন ব্রিটিশ সরকার বুঝেছিল সেইদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন ভারতবাসী তাদের পরাধীনতার শেকল কেটে বেরিয়ে আসবে ৷ সেই অন্ধকার যুগের কিছু মৃত্যু পাগল যুবক তাদের জীবনের মূল্যে আগুন জ্বালাতে চাইছে এই মুক্তি যুদ্ধের অগ্নিশিখায় ৷ সেই অগ্নিশিখার এক স্বাধক ক্ষুদিরাম বসু ৷ অবশেষে ভারতবর্ষের বুকে নেমে আসে সেই দিন সকল ভারতবাসীকে চোখের জল দিয়ে বিদায় জানাতে হয়েছিল ১৮ বছরের যুবককে ৷
১৯০৮ সালে ১১ই আগস্ট বিহারের মজঃফরপুরের জেলে হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি বরন করেন বীর পুত্র ক্ষুদিরাম বসু ৷
তার ফাঁসির খবর ব্রিটিশ পত্রিকা "এম্পায়ার" এ প্রকাশিত হয় তার নিথর মৃতদেহ ৷ তার এই বলিদান ব্যার্থ হয়নি, ভারতবর্ষের প্রতিটি কোনায় তার কথা ছড়িয়ে পড়ে ছিল ৷ তার এই আত্মত্যাগে ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার বীজ বুনেছিল ৷
ক্ষুদিরামের মৃত্যু ঘটলেও প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে তিনি জীবিত আছেন মনের মনিকোঠায় ৷ তাই কবি সুকান্তের ভাষায়
"এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে ৷
এদেশের বুকে ক্ষুদিরাম আসুক নেমে ৷"
কোন মন্তব্য নেই